বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসকরা। তাদের এই ব্যস্ততার কারণে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাগজে-কলমে হাসপাতালে ১৬শ’র অধিক রোগী থাকলেও সরেজমিনে আরও কম দেখা গেছে। তাছাড়া হাসপাতালের বহিঃবিভাগে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে এসেও ফিরে গেছেন। অনেকে আবার টিকিট ক্রয় করে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন দিনব্যাপী বিশাল আকারে সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠান রোববার শুরু হওয়া এই আয়োজনকে ঘিরে শেবাচিম হাসপাতালের আলোকসজ্জারও কমতি নেই। সোমবার ও মঙ্গলবারও অনুষ্ঠান চলবে। রেজিস্ট্রেশন কীট বিতরণ, বৈজ্ঞানিক অধিবেশন, খেলাধুলা, চা-চক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য হাসপাতালের বেডে থাকা অনেক রোগীকেও ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে- রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিছু সময় বিলম্ব হলেও, রোটেশন করে সেখানে চিকিৎসক রাখা হয়েছে।
অথচ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জাহানারা সুলতানা নামের বানারীপাড়ার এক বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন- টিকিট নিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে বসে আছি। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা পাচ্ছি না। এছাড়া মানুষের দীর্ঘ লাইনও রয়েছে। সেই লাইনে রোগীদের সংখ্যাও কমার কোনো লক্ষণ দেখতে পাইনি।
একই ভাবে মুলাদী থেকে আসা মাহামুদ সিকদার বলেন, অনুষ্ঠান চলছে ঠিক আছে। তবে রোগীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার দরকার ছিল। এমন ভোগান্তিতে ফেলে তাদের বিনোদনকে প্রাধান্য দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা বোধগম্য হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন- ইনডোর ও আউটডোরে স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। তবে রোগীদের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। রোটেশন করে হাসপাতালে চিকিৎসক রাখা হয়েছে। এতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
অপরদিকে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply